সিরিয়ায় জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত শামিমা বাংলাদেশি নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
2019.02.20
ঢাকা ও ওয়াশিংটন ডিসি

যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিসে যোগ দেয়া তরুণী শামিমা বাংলাদেশি নাগরিক নন, তাই তাঁকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ায় আইসিসে যোগ দেয়ার কারণে সম্প্রতি জনৈক শামিমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বাংলাদেশের নজরে এসেছে।
এতে বলা হয়, “শামিমাকে তাঁর জন্মস্থান যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ভুলভাবে বাংলাদেশেরও দ্বৈত নাগরিক হিসেবে চিহ্নত করায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
“শামিমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি জন্মসূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং কখনও বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি,” বলা হয় বিবৃতিতে।
শামিমা তাঁর বাবা-মায়ের সূত্রেও কখনো বাংলাদেশে আসেননি উল্লেখ করে এতে বলা হয়, “সুতরাং তাঁকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সন্তান ও জন্মসূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামিমা বেগম (১৯) ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে আরও দুই ব্রিটিশ কিশোরীর সাথে লন্ডন থেকে পালিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে নেদারল্যান্ডের নাগরিক এক আইসিস যোদ্ধাকে শামিমা বিয়ে করেন বলে জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।
সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযানে আইসিসের কোনঠাসা হয়ে পড়া ও কুর্দি বাহিনীর হাতে তাঁর স্বামী বন্দি হবার কারণে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন গর্ভবতী শামিমা।
গত সপ্তাহে শামিমা তাঁর জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর মাঝে শনিবার আশ্রয় শিবিরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শামিমা আগে আরো দুটি সন্তানের জন্ম দিলেও তারা বাঁচেনি।
এদিকে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার অপরাধে শামিমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ শামিমার মায়ের কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানান।
যুক্তরাজ্য সরকারের মতে, বাবা-মার সুবাদে শামিমার বাংলাদেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘অবিচার’ মন্তব্য করে শামিমা তাঁর স্বামীর দেশ নেদারল্যান্ডে আশ্রয়ের জন্য আবেদনের চিন্তা করছেন বলে জানায় এএফপি।